নিজের সম্পদ ও আয় ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান

| সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

গণমাধ্যমের সামনে নিজের সম্পদ বিবরণী ও আয় ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। গতকাল রোববার বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি নিজের আয়ব্যয় ও সম্পদ বিবরণী তুলে ধরেন।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সম্পদ বিবরণী দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। অন্য কমিশনাররা তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়ে দেবেন। নিজের সম্পত্তির বিবরণ তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বসিলায় সাড়ে ৭শ’ স্কয়ার ফিটের দুটি মিলিয়ে ১৫০০ স্কয়ার ফিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। সেখানে আরও প্রায় ৭০০ স্কয়ার ফিট নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্ত্রীর সঙ্গে আমার একটি খালি জায়গা আছে ৫ কাঠা। আমি বিসিএস প্রশাসন কমিটির সদস্য ছিলাম। সেখানে ৮ জন সদস্যের জন্য ১০ কাঠা জমি রয়েছে। আমার ভাগে ১ দশমিক ২৫ কাঠা পড়বে। ২০০৭ সালে টাকাপয়সা পেয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত দখল পাইনি। আমি নিজে রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত সেটির কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। যে কোনো কারণে হোক সরকার আমাকে দেয়নি। আমি আবার আবেদন করব। এর বাইরে আমার আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। খবর বাসসের।

অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন আকারের ২৫টি সেলফ ভর্তি বইপত্র আছে। দেশিবিদেশি বেশ দামি বইপত্র। আসবাবপত্র ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে ৫ লাখ টাকার জিনিস আছে। ৫ বছর মেয়াদি ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। আর তিন মাস অন্তর সঞ্চয়পত্র আছে ২০ লাখ টাকার। আমার জিপিএফের টাকা আমি তুলিনি, ওখানে ১৭ লাখ টাকা আছে। নিজের আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার চাকরিলব্ধ আয়, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ। শিক্ষকতা করি, বক্তৃতা করি, লেখালেখি করি। সাড়ে ৫ শতক একটা জমি কিনেছিলাম বেড়িবাঁধের বাইরে চটগড়ান বাড়ি এলাকায়, সেটি বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছিলাম। আমার হাতে নগদ এবং ব্যাংক মিলিয়ে মোট সাড়ে ৪ লাখ টাকার মতো এখন আছে।

সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সমমানের বেতন তিনি পান উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমার চাকরিজীবন অনেক দিনের। ছাত্রাবস্থা থেকেই আয় করা শুরু করি। যখন এই চাকরি থেকে চলে যাব আপনারা হিসাব করবেন এই সম্পদ কতটা বাড়ল, কতটা কমল।

গত ১১ ডিসেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেন মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। ওইদিন ৭ দিনের মধ্যে স্থাবরঅস্থাবর সম্পদ ও আয়ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচনে কারা আসবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
পরবর্তী নিবন্ধউপদেষ্টা হাসান আরিফের জন্য আজ রাষ্ট্রীয় শোক