চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ে আইএমএফের সম্মতি

| বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ শিগগিরই পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী একদুই সপ্তাহে বিষয়টি সংস্থার নির্বাহী বোর্ডে উঠবে। ঋণ ছাড়ের আগে তৃতীয় পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি দল ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করে। সংস্থাটির কর্মকর্তা ক্রিস পাপাজর্জিও দলটির নেতৃত্ব দেন। ওই সফরের শেষে গতকাল বুধবার আইএমএফের দেওয়া বিবৃতিতে ঋণের কিস্তির ছাড়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ চলমান ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে। এর ফলে বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ) এবং বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণের আকার দাঁড়াবে ৪০০ কোটি ডলারে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) কর্মসূচির আওতায় ১৩০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে। খবর বাংলানিউজের।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশ যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তা মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন। কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন যে, আইএমএফের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় অতিরিক্ত অর্থের জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ যে অনুরোধ করেছে, তা পাওয়া গেলে এই কর্মসূচির আকার দাঁড়াবে ৫৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পাওয়া যায়। গত ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। আর গত জুনে পেয়েছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে গণআন্দোলন, বন্যা এবং সংকোচনমূলক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছে আইএমএফ। তবে নীতি শিথিল হলে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়ার প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি। কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির ফলে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে মনে করে আইএমএফ। তবে অর্থনীতিতে গভীর অনিশ্চয়তা আছে বলেও মন্তব্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত না হলে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক আসবে
পরবর্তী নিবন্ধফিরোজ আহমেদ ও মো. ফজলুর রহমান এবি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত