চন্দনাইশে পান চাষিসহ দুজনকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়

১ অপহরণকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বুধবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের দোহাজারী রায়জোয়ারা গ্রামের এক পান চাষি ও এক কাজের লোককে অপহরণ করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় ১ অপহরণকারীকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অপহৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. হামিদ জুলহাস বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

থানায় দায়েরকৃত এজাহারে জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড রায়জোয়ারা গ্রামের পান চাষি মো. মজিবুর রহমান (৪২) ও কাজের লোক বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গজনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ বাবুল (৪০) গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে রায়জোয়ারা জঙ্গলী পীর শাহ (রহ.) মাজার সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় পান ক্ষেত পাহারা দিতে যায়। ওইদিন রাত ৪টার সময় মজিবুর রহমানের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে পরিবারের লোকজনকে জানানো হয় মজিবুর রহমান ও তাদের কাজের লোক বাবুলকে অপহরণ করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিতে বলে অপহরণকারীরা। দাবিকৃত মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এ সংবাদ পাওয়ার পর মজিবুর রহমানের পরিবারের লোকজন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা যোগাড় করে এবং অপহরণকারীদের দেয়া ঠিকানা হাতিয়াখোলাস্থ গহীন পাহাড়ের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণকারীরা অপহৃত ২ জনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সেখানে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে অপহরণকারীদের টাকা পরিশোধ করে তাদের রায়জোয়ারাস্থ বাড়িতে নিয়ে আসে। ইতোমধ্যে মো. সুমন (২৪) নামে অপহরণকারী দলের ১ সদস্য ভিকটিমের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে চিনে ফেলে অপহৃতরা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকদের বিষয়টি জানানোর পর তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধৃত অপরহণকারীকে উদ্ধার করে। এসময় আটককৃত সুমন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ তাকে দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এজাহারে মো. সুমনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান আল হোসাইন বলেন, উক্ত ঘটনায় মো. সুমন নামে একজনকে আটক করা হয়। গণপিটুনির শিকার হয়ে সে গুরুতর আহত হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপরাপর আসামিদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
পরবর্তী নিবন্ধছিঁড়ে গেছে মাতামুহুরী নদীতে নির্মিত ড্যামের রাবার ব্যাগ