চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, বন উজাড় এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নানাবিধ কারণে এ শহর হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। যারা পাহাড় কাটছে, খাল দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নগরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিতে হবে। খেলার মাঠ, পার্ক, জলাধার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল নগরীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন মাঠে আয়েজিত বিজয় মেলায় ‘কথামালা’ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পরিকল্পনাবিদদের সাথে পরামর্শ করে পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশে বর্তমান জেলা প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকত, সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সৈকতকে বিশ্বমানের পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলার জন্য সি সাইড থেকে সরিয়ে কান্ট্রি সাইডে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির দেয়া নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী দোকান ঘর নিমার্নের টার্গেট নেয়া হয়েছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের জন্য শেড/অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, নগর পরিকিল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব হাসান মারুফ রুমি।