বাঁশখালীর কাথরিয়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন করছেন এক তরুণী। গতকাল সোমবার সকাল থেকে কাথরিয়ায় মোহাম্মদ রিদুয়ানের বাড়ির বাইরে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ফেসবুকে বাঁশখালীর কাথরিয়া ইউনিয়নের বরইতলী এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে রিদুয়ানের সাথে সন্দীপ উপজেলার উড়িরচর ইউনিয়নের এক তরুণীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা বিয়ে করে চট্টগ্রাম নগরের বালুছড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ছিলেন। বিয়ের এক মাস পর রিদুয়ান দুবাই চলে যান। ৭ নভেম্বর রিদুয়ান দেশে ফিরে বালুছড়ায় স্ত্রীর ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। পরে বিয়ের বিষয়টি রিদুয়ান তার বাবাকে ফোন করে জানালে তিনি ছেলে ও পুত্রবধূকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। গতকাল দুপুরে প্রবাসী রিদুয়ানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘর তালাবদ্ধ। বাইরে সিঁড়িতে বসে অনশন করছেন ওই তরুণী। অনশনরত তরুণী বলেন, আমাকে বিয়ে করার পর ৫ বছর সংসার করেছে। এখন তার মা–বাবা আমাকে মেনে না নেওয়ায় সেও আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। আমার ভাই–বোন নেই, মা–বাবা অসুস্থ। স্বীকৃতি না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। তিনি বলেন, আমি গার্মেন্টসে চাকরি করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম। টাকাগুলো সে প্রবাসে যাওয়ার আগে নিয়ে যায়।
কাথরিয়া ইউপির সদস্য ছৈয়দ আহমদ বলেন, রিদুয়ান আমার চাচাতো বোনের ছেলে। চাচাতো বোন ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এদিকে পলাতক থাকায় এ নিয়ে প্রবাসী মোহাম্মদ রিদুয়ানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রিদুয়ানের মা নুর বেগম বলেন, এভাবে ছেলেরা মেয়েদের সাথে এক–আধটু সম্পর্ক করে। কিন্তু ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে হয়নি। সে মামলা করলে করুক।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।