সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “আমাদের সন্তানরা রক্ত দিয়ে যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাই বাংলাদেশী সবাই এ দেশের নাগরিক। এখানে সবাই সমান। এ দেশে যেনো কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নস্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সময় এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নস্ট করে দিতে চেস্টা করেছে, এখনো চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ইনশাল্লাহ তারা সফল হবে না। তারা যে দেশেই বসে থাকুক যেখান থেকেই বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করুক কাজ হবে না। এ দেশে তাদের রাজনীতি শেষ। এ দেশে আর কোনদিন ইসলাম বিদ্বেষী, আলেম ওলামা বিদ্ধেষী কোনো রাজনীতিবিদের জায়গা হবে না। সকল ধর্মাবলম্বীরা সকল নাগরিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করবে। এদেশে কেউ সংখ্যা লুঘু নয় এদেশে সবাই সমান।”
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) রাতে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ঐতিহাসিক ৩ দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিবসে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, “আল আমিন সংস্থা দ্বীনের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত আমলে এ সংগঠন দ্বীন এবং দ্বীনের প্রচার ও এসব মাহফিল করতে গিয়ে অনেক বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন। এখন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং আমাদের প্রিয় নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান আমরা যাতে দ্বীন এবং দ্বীনের প্রচার শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে করতে পারি সেটা নিশ্চিত করবেন ইনশাআল্লাহ।”
মাহফিলে উপস্থিত সকলকে মীর হেলাল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম জানান এবং তার অসুস্থ পিতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জন্য মাহফিলে উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া চান।
মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন ও মাওলানা রিজওয়ান আরমানের সঞ্চালনা ও মুফতী জসীমউদ্দিন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা মীর কাসেম ও মাওলানা সোলায়মানের ধারাবাহিক সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কারী সাঈদুল ইসলাম আসাদ।
মাহফিলে আরও তাফসীর পেশ করেন, আল্লামা মুফতী রশীদুর রহমান ফারুক, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতী রাফি বিন মুনির, মুফতী সিরাজুল্লাহ মাদানী, মুফতী সোলাইমান, মাওলানা ইসমাইল খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৩০ অক্টোবর থেকে তিন দিনব্যাপী এ মাহফিল শুরু হয় এবং ০১ নভেম্বর শুক্রবার রাতে এ মাহফিলের সমাপনী হয়।