বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল করার বিধান ফিরে আসায় বিচারকদের নিয়ে বিভিন্ন মহলে জমে থাকা ক্ষোভ নিরসনের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতন পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, রিভিউ মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুত্থিত হয়েছে। এটা নিয়ে কিছুটা কনফিউশন ছিল, আজকে আদালতে রায়ের মাধ্যমে সেই কনফিউশন দূর হয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন পুরোপুরি অপারেশন করা যাবে। আমাদের হাই কোর্টে কিছু বিচারক রয়েছেন, উনাদের বিষয়ে সমাজের প্রতিটা স্তরে প্রচুর কমপ্লেইন রয়েছে। উনারা জুলাই গণবিপ্লবে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির নিপীড়ন যন্ত্রে পরিণত হয়েছিলেন। কারো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে। তাদের বিষয়ে ছাত্র–জনতার অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এ সমস্ত ক্ষোভ সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিরসনের একটা এভিনিউ তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি ছাত্র–জনতা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য একটা সুযোগ পাবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হলে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে টানাপড়েন তৈরি হয়। এরপর এক রিট মামলার রায়ে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন ছিল না, তখন অনেক ফরমায়েশি রায় হয়েছে। তারেক রহমানের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, বহু মানুষ কোর্টে এসে মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পায়নি। বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের সেই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সুযোগ হয়েছে বলে মনে করি।