বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাথুরাসিংহে অধ্যায় শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্সের অধ্যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি টেস্টের মধ্য দিয়েই তার কাজ শুরু হচ্ছে। কাল সোমবার থেকে শুরু হবে মিরপুর টেষ্ট। আর এ টেস্ট শুরু উপলক্ষে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মাঠের ক্রিকেট নিয়ে কথা কমই বলেছেন তিনি। বরং মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিষয় আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কি হবে তাই নিয়ে কেটেছে বেশির ভাগ সময়। শেষদিকে অবশ্য প্রশ্ন হয়েছে ফিল সিমন্সের কাছে ‘এখন গুরুত্বপূর্ণ’ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়েও। কাল থেকে মিরপুর টেস্ট এরপর ২৯ অক্টোবরে চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। দুটি ম্যাচই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আসতে পারে চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেয়ারও। এক্ষেত্রে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার অতীত রেকর্ড স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। উপমহাদেশে প্রোটিয়ারা সবশেষ সিরিজ জিতেছে এক দশক আগে। ২০১৪ সালে শ্রীলংকাকে হারানোর পর আর কখনো সিরিজ জেতা হয়নি তাদের। এর মধ্যে একবার বাংলাদেশেও ঘুরে গেছে তারা। বৃষ্টির বাধায় ওই সিরিজের দুটি ম্যাচই হয়েছিল ড্র। ওই রেকর্ড মনে করিয়ে দেয়ার পর সিমন্স বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই ভালো সুযোগ। বাংলাদেশ সাধারণত ঘরের মাটিতে খুব ভালো শক্তিশালী দল। টেস্ট সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগ আমাদের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই রেকর্ড আছে (গত এক দশক উপমহাদেশে টেস্ট না জেতার) তাদের মাথায়। কিন্তু তারা প্রাণবন্ত দল। কঠোর পরিশ্রম করবে এই রেকর্ড বদলানোর।’ প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সিমন্স বাংলাদেশে এসেছেন তিনদিন হলো। প্রথমদিনই বিমানবন্দর থেকে চলে এসেছিলেন মাঠে। সেদিন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে হয়েছে লম্বা আলাপ। পরেও কথা হয়েছে তার সঙ্গে। সিমন্স বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ব্যাপারে তার ভাবনা ও দলকে কোনদিকে নিতে চায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। টেস্ট শুরুর আগে আমরা কী করবো এ নিয়েও আলাপ হয়েছে। সাধারণত ম্যাচ নিয়েই আলাপ হয়েছে। একে–অপরকে জেনেছি, ওয়ানডে নিয়ে আরও আলাপ হবে। এখন কেবল টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছে, এই দুই ম্যাচে আমরা কী করবো।’ চারপাশের উত্তাল পরিস্থিতি সত্ত্বেও খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম করতে দেখে খুশি সিমন্স। তিনি বলেন, ‘আমার দর্শন কঠোর পরিশ্রম করে প্রস্তুতি নেওয়া, যাতে ম্যাচে ফলাফল পাওয়া সম্ভব। গত দুই দিনে আমি যা দেখেছি, ছেলেরা তাদের খেলা এবং ফিটনেস নিয়ে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করে। যা দেখে আমি বেশ খুশি।’ বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে সবসময় আলোচনায় থাকবেন তা জেনেও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সিমন্স। তিনি বলেন, ‘সব আন্তর্জাতিক কোচিং চাকরি হট সিট। বাংলাদেশ আলাদা। পাকিস্তান আলাদা। আমার জন্য বিষয়টা হলো, ক্রিকেটারদের তৈরি করা, সবকিছু উপভোগ করা এবং ম্যাচ জেতা। গত দুই দিন সত্যিই ভালো কেটেছে।’ সিমন্স আরও বলেন, ‘লক্ষ্য হল সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া এবং ম্যাচ জয়ের জন্য চেষ্টা করা। যা সোমবার শুরু হওয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচ থেকে হবে। আমি এভাবেই কাজ করি।’