ইলিশের প্রজনন উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ শনিবার মধ্যরাত (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে। ফলে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে ট্রলারগুলো। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের অধিকাংশ ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে। বাকি ট্রলারগুলো আজ বিকালের মধ্যে ফিরবে বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকরা।
এদিকে সাগরে মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে একসঙ্গে অসংখ্য ট্রলার ঘাটে ফিরে আসায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শহরে ইলিশ আসার পরিমাণ আগের তুলনায় তিন–চার গুণ বেড়েছে। শুক্রবার কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৮ মেট্রিক টন মেট্রিক ইলিশ রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী। তিনি জানান, আগেরদিন বৃহস্পতিবারও প্রায় ২১ মেট্রিক টন ইলিশ রাজধানীর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। অথচ গত বুধবার পর্যন্ত পুরো পক্ষকালজুড়ে দৈনিক ৭ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ আসেনি। গত দুইদিন ইলিশ ছাড়াও সাগর থেকে ১০ থেকে ১৫ টন করে অন্যান্য জাতের মাছ এসেছে বলে জানান জুলফিকার আলী।
জুলফিকার আলী বলেন, সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে আজ শনিবারের পর থেকে ২২ দিনের জন্য খাঁ খাঁ প্রান্তরে পরিণত হতে চলেছে শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। আর বেকার হতে বসেছে প্রায় ১ লাখ মৎস্যজীবী। সেইসাথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বরফ কলগুলোও। কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, কক্সবাজারে ছোট বড় প্রায় ৮ হাজার যান্ত্রিক নৌ–যান আছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে (১৩ অক্টোবর) থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও মোহনায় মাছধরা, পরিবহণ ও মজুদের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হবে।