যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দুদিন আগেই হ্যারিস ও ট্রাম্প এবিসি টিভি চ্যানেলের বিতর্কে যোগ দেন। বিতর্ক শেষে তারা প্রচারে ফিরেছেন। তীব্র লড়াই হতে পারে, এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুজনই প্রচারে জোর দিয়েছেন।
ট্রাম্প কী বলেছেন? সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প দাবি করেছেন, হ্যারিসের সঙ্গে টিভি বিতর্কে তিনিই জিতেছেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি বলেছেন, তৃতীয় কোনো বিতর্ক হবে না। খবর বাংলানিউজের।
ট্রাম্প প্রথমে বাইডেনের সঙ্গে টিভি বিতর্কে অংশ নেন। তখন বাইডেনই প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন। সেই বিতর্কে বাইডেনের পারফরমেন্স শোচনীয় ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এবং যার জেরে তিনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। বাইডেন সরে যাওয়ার পর এখন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। তার সঙ্গে একবারই মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের দাবি, সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, কমরেড কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে আমিই বিতর্কে জিতেছি। অবশ্য বেশ কিছু সমীক্ষার মত হলো, বিতর্কে হ্যারিসই জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট বরং তার কাজে মনোযোগ দিন। হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কের পরই ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে আরেকটি বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ জানান।
ট্রাম্প বলেন, লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর প্রথম কথায় পরাজিত মানুষ বলে, আমি আবার লড়তে চাই। ট্রাম্প এখন অ্যারিজোনায় প্রচার করছেন। এ রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। দুই প্রার্থীই এখান থেকে জয়ের আশা করছেন। সেখানে একটি জনসভায় ট্রাম্প বলেছেন, যদি নভেম্বর মাসের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেন, তাহলে কর ছাঁটাই করবেন।
সেক্ষেত্রে ওভারটাইমের ওপর থেকে কর তুলে নেয়া হবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, টিপসের ওপর কোনো কর বসানো হবে না। সেই প্রতিশ্রুতি এত জনপ্রিয় হয় যে, হ্যারিসও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হ্যারিস কি বিতর্ক চান? নর্থ ক্যারোলাইনায় এক জনসভায় হ্যারিস বলেছেন, দুই রাত আগে আমি ও ট্রাম্প প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, ভোটদাতাদের জন্য আরেকটি বিতর্কে আমরা দায়বদ্ধ। নর্থ ক্যারোলাইনাও হলো সুইং স্টেট, যেখানে দুই প্রার্থীই জয়ের আশা করছেন। রয়টার্স/আইপিএসওএস সমীক্ষা অনুসারে ৫৩ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা মনে করে, বিতর্কে হ্যারিস জিতেছেন। আর ২৪ শতাংশ মনে করে, ট্রাম্প জিতেছেন।