পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার পশ্চিম–দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম–দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার পশ্চিম–দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার পশ্চিম–দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। খবর বিডিনিউজের। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের পুরীর কাছ দিয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টি বাড়তে পারে কাল থেকে : গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আগামীকাল বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গতকাল সকালে বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ১১, ১২, ১৩ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। এর বাইরে এর তেমন প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। এটি ভারতের উড়িষ্যার দিকে চলে যাবে।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।