চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ও পাহাড় ধস

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

ফেনীকুমিল্লালাকসামআখাউড়াব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটের মৌলভীবাজারহবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে, ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে। একইভাবে সিলেটে কয়েকটি স্থানে রেললাইনে পানি উঠেছে এবং একটি রেল সেতু পানিতে ডুবে গেছে। চট্টগ্রামকক্সবাজার রেললাইনেও পাহাড় ধস হয়েছে। কঙবাজার লাইনে দোহাজারীষোলশহর এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সুবর্ণ এঙপ্রেস ও চট্টলা এঙপ্রেস ছেড়ে গেছে। ট্রেন দুটি চলে গেছে। কিন্তু সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা এঙপ্রেস ট্রেনটি যেতে না পেরে ফিরে এসেছে। সকালে চট্টগ্রাম থেকে কঙবাজার উদ্দেশ্যে কঙবাজার স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। সেটি চলে গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে রেল লাইনে ডুবে গেলে ট্রেনটি কঙবাজার থেকে আসতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম থেকে সকল ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়া এবং বন্যার পানিতে কুমিল্লায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার পর চট্টগ্রাম থেকে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর দুপুর ১টায় সিলেটের পথে ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় ঢাকায়।

এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে গেছে। ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে। কুমিল্লায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেট রুটের কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। কঙবাজার লাইনের দোহাজারী এলাকা পানিতে ডুবে গেছে, চকরিয়া স্টেশনের হারবাং এলাকায় রেল লাইনের উপর পাহাড় ধসে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রেন চালানো খুবই বিপজ্জনক। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেলের সম্পদ রক্ষায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডিআরএম প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সুবর্ণ এঙপ্রেস ও চট্টলা এঙপ্রেস ছেড়ে গেছে। কিন্তু সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা এঙপ্রেস ট্রেনটি যেতে পারেনি; ফিরে এসেছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার কারণে ফেনী ও কুমিল্লায় রেললাইন ডুবে গেছে। সিলেটের কিছু অংশও পানিতে ডুবে গেছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, সিলেট, জামালপুর ও চাঁদপুর, কঙবাজারসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দৈনিক ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে প্রতিদিন।

এছাড়া কঙবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ গন্তব্যে কয়েকটি লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। বন্যার কারণে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা যাবে কমলাপুর আইসিডির কন্টেনার
পরবর্তী নিবন্ধঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৭ কিলোমিটার প্লাবিত, চালকরা আতঙ্কে