জিহাদ-সিয়ামকে আসামি করে ভারতের আদালতে অভিযোগপত্র

আনার হত্যা

| মঙ্গলবার , ২০ আগস্ট, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় কসাই জিহাদ হাওলাদার এবং সিয়াম হোসেনকে আসামি করে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সে দেশের পুলিশ। আনন্দবাজার লিখেছে, শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনা বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পৃষ্ঠার ওই চার্জশিট জমা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি পুলিশ। খবর বিডিনিউজের।

এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে প্রথম ব্যক্তি গ্রেপ্তারের ৮৭ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ল। সেখানে কসাই জিহাদ হাওলাদার এবং সিয়াম হোসেনের নাম থাকলেও খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক কিছু বলা হয়নি। এর আগে গত মে মাসে ঢাকা মহানগর পুলিশের তখনকার কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, আনার হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার পাশাপাশি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও খুনের মূল রহস্য এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের ধারণা ছিল। ঝিনাইদহ৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ওই তিনজন হলেনআমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও সেলেস্টি রহমান (২২)। এছাড়া মে মাসে যশোর থেকে সাইফুল আলম মোল্লা মেম্বার নামে আরেকজনকে আটক করে ডিবি। তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা খুলনার শিমুল ভুঁইয়ার সহযোগী বলে পুলিশ জানিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে জেনেছে, এমপি আনার হত্যার ‘হোতা’ তার বাল্যবন্ধু ও ঝিনাইদহের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন মিয়া। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল। আনার কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য নিউ টাউনে আখতারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহারুন ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিএনপির ফারুকের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১১৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার