পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঁকতে বাঁধা প্রদান ও মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি (আদিবাসী) ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পাহাড়ের মানুষ এখনো স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে না। পাহাড়ের মানুষ এখনো স্বাধীন হয়নি। যেখানে তিন পার্বত্য জেলাজুড়ে শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতি আঁকে তখন সেখানে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। সমতলের শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে গ্রাফিতি করতে পারলে পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বাঁধা কেন দেওয়া হয়? আমাদের মানুষের অধিকারকে ছিনিয়ে নিয়ে শত–শত সত্যকে ধামা–চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারা আরও বলেন, জোর–জবরদস্তি করে কেউ আমাদের অধিকার, আমাদের ভূমি কেড়ে নিতে পারবে না। ন্যায়–অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। এসময় বক্তারা বৃহত্তর আন্দোলন বেগবান করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কিকো দেওয়ানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কর্ণফুলী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উচামং মারমা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ক্যাচিনুং মারমা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে জিকো তালুকদার, সমাজসেবক নবশীষ চাকমা প্রমুখ। এর আগে, সকালে রাঙামাটি জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশে চলাকালে রাঙামাটি–চট্টগ্রাম সড়কে ঘন্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে।