এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অভিযান প্রায় শেষ হয়ে গেলো । সংগত কারণেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাকিব আল হাসানের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারও কি তাহলে শেষের পথে ? সাকিব নিজে এখনও এসব নিয়ে কিছু ভাবেননি বলেই দাবি করলেন। সময় হলে দলের প্রয়োজনীয়তা ও নিজের মনোভাব বুঝে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানালেন এই অলরাউন্ডার। অবশ্য অবসর নিয়ে প্রশ্ন এখন নিয়মিতই শুনতে হচ্ছে সাকিবকে। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি অবিসংবাদিত। ক্যারিয়ারে তার খারাপ সময় এসেছে টুকটাক। তবে কখনোই তা খুব দীর্ঘ হয়নি। পারফরম্যান্সের কারণে দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ক্যারিয়ারজুড়ে কমই উঠেছে তার। সেই সাকিব এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ব্যাটিংয়ে তো নিজের ছায়া হয়ে আছেন বেশ কিছু দিন ধরেই,। তার মূল শক্তির জায়গা যেটি, সেই বোলিংয়েও এখন তিনি অনেকটা ধারহীন ও অচেনা। তাইতো অবসর নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ করে দিচ্ছে তার এমন পারফরম্যান্সই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবসর ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে সাকিব বলেন এটি শেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কি না এখনো জানি না। পৃথিবীতে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে আসলে ক্রিকেট বোর্ড। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। তবে এগুলো আসলে এখনই এখানে আলোচনা করার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হতে পারে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, এই বিশ্বকাপ দিয়ে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান তিনি। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাকে সেটি মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বলেন, আগের সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছেন তিনি। সে রকম একটা চিন্তা হয়তো ছিল। চিন্তাতো বদলাতেই পারে। এগুলা নিয়ে আসলে আমি খুব বেশি চিন্তিত নই। অনেক বড় বিরতি আছে সামনে। তখন সে সব নিয়ে ভাবা যাবে। দলের প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখা যাবে। যদি দল মনে করে যে, আমাকে দরকার আছে আর যদি আমি মনে করি যে দলে আমার দরকার আছে ও আমি ওভাবে তাড়না অনুভব করছি। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে খেলার বিষয় দেখা যাবে। উপভোগ না করলে তো অবশ্যই খেলার বিষয় নয়। তবে এগুলো এখন সময়ের ব্যাপার। যেহেতু অনেক বড় একটা বিরতি আছে, এরপর টেস্ট ম্যাচই বেশি খেলা হবে, স্বাভাবিকভাবেই মনোযোগ ওদিকেই বেশি চলে যাবে। তাই সময়ের ওপরই ছেড়ে দিচ্চি সবকিছু। যখন সময় হবে তখন সবাই সব জেনে যাবে। ংংএবারের বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সকে একেবারে খারাপ হিসেবে দেখতে নারাজ সাকিব। তিনি বলেণ ছয় ম্যাচের তিনটি জয়, তিনটিতে হার। সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ। তবে সুপার এইটের দুই ম্যাচে আরেকটু লড়াই জমাতে পারলে বিশ্বকাপ অভিযান দলের জন্য সফল হতো বলেই মনে করেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।