মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ক্লদিয়া শিনবাউম। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বিশাল ব্যবধানের জয় পেয়েছেন। মেক্সিকোর সরকারি নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে রাজধানী মেক্সিকো সিটির ৬১ বছর বয়সী সাবেক মেয়র রোববারের নির্বাচনে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। মেক্সিকোর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটাই ভোটের সর্বোচ্চ শতাংশ হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
শিনবাউম তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত বিরোধীদলীয় প্রার্থী সেনেটর ও ব্যবসায়ী শোচিত গালভেজ থেকে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। গালভেজ ভোট পেয়েছেন ২৬ দশমিক ৬ থেকে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে। শিনবাউম জানিয়েছেন, পরাজয় স্বীকার করে গালভেজ ফোনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামী ১ অক্টোবর শিনবাউম তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা, মেক্সিকোর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের স্থলাভিষিক্ত হবেন। শিনবাউম একজন সাবেক জলবায়ু বিজ্ঞানী। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেক্সিকো সিটির মেয়রের দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাদরের আর্শীবাদপুষ্ট প্রার্থী। শিনবাউম বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওব্রাদরের অনেকগুলো সফল কর্মসূচী অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। গত ছয় বছরে ওব্রাদরের নেতৃত্বে লাখ লাখ মেক্সিকান কীভাবে দারিদ্র থেকে বের হয়ে এসেছেন নির্বাচনী প্রচারণায় এই বিষয়টিতেই বেশি জোর দিয়েছিল শিনবাউমের মোরেনা পার্টি। শিনবাউমের সমর্থকরা মেক্সিকো সিটির প্রধান চত্বর সোকালোতে তাদের প্রার্থীর জয় উদযাপন করছেন, এখানে তারা ক্লদিয়া শিনবাউম, প্রেসিডেন্ট লেখা ব্যানার দোলাচ্ছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
নিজের বিজয়ী ভাষণে শিনবাউম বলেছেন, তিনি ওব্রাদরের অগ্রগতি আরও এগিয়ে নিতে চান। আমি আপনাদের হতাশ করবো না বলেছেন তিনি।