কলকাতায় যেতে ভিসার অপেক্ষায় এমপি আনারের মেয়ে

| বৃহস্পতিবার , ৩০ মে, ২০২৪ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

ভারতের ভিসা হাতে পেলেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানিয়েছেন ‘খুন হওয়া’ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। গতকাল বুধবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নিজেদের বাসার সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর পর্যন্ত তিনি ভারতীয় ভিসা সেন্টার থেকে পাসপোর্ট ফেরত পাননি। আমার ভিসাটা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। ওরা বলেছিল একটা টেঙট আসবে, ওটা রিসিভ করলে পাসপোর্টটা আজকেই দিয়ে দেবে হয়ত। ভিসাটা পেলেই ভারতে যাব।

কলকাতার যে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেঙে ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনার ‘খুন হয়েছেন’ বলা হচ্ছে, তার সেপটিক ট্যাংক থেকে গত মঙ্গলবার কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। খবর বিডিনিউজের।

সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডরিন বলেন, এখনো ডিএনএ টেস্টের বিষয়ে তারা আমাকে কিছু জানায়নি। তবে নিউজে যে মাংস উদ্ধারের বিষয়টি দেখানো হচ্ছে, ডিএনএ টেস্ট না হলে তো আমরা নিশ্চিত হতে পারব না। ডিএনএ টেস্ট না করলে তো মেনে নিতে পারব না।

ডরিন জানান, তার এক চাচা এবং এমপি আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফও কলকাতায় যাচ্ছেন তার সঙ্গে। রউফ ভাইয়েরও পাসপোর্ট জমা দেওয়া আছে। তিনিও যাবেন। আমার চাচা যাবেন। তার অলরেডি ভিসা আছে।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে ডরিন বলেন, আমি জিজ্ঞেস করছিলাম লাস্ট আপডেট কী, তারা আমাকে বলেছে ‘আপনি ভারতে আসেন। সাথে আপনার চাচাকে আনতে পারেন বা আপনার রক্ত সম্পর্কীয় কাউকে আনতে পারেন।

ঝিনাইদহ৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ওই তিনজন হলেন আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও সেলেস্টি রহমান (২২)। এছাড়া মঙ্গলবার যশোর থেকে সাইফুল আলম মোল্লা মেম্বার নামে আরেকজনকে আটক করে ডিবি। তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা খুলনার শিমুল ভুঁইয়ার সহযোগী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যেখানে আনারকে হত্যার কথা বলা হচ্ছে সঞ্জিভা গার্ডেনস নামের বিলাসবহুল ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের সেপটিক ট্যাংক থেকে মঙ্গলবার বেশ কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পরে তা ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য রক্তসম্পর্কীয় স্বজন প্রয়োজন হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোগীকে দিনে তিনবার, টানা তিন মাস কৃমির ওষুধ খেতে বললেন চিকিৎসক!
পরবর্তী নিবন্ধআজিজের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির’অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন