চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য শাটলই একমাত্র ভরসা। দিনে প্রায় ১০–১৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করেন শাটলে। গরমের সময় শাটলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তীব্র গরমে অজ্ঞান হয়ে যান অনেকেই। এ শাটল ট্রেন নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন, দাবি জানালেও তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে এবার শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শাটলে পাওয়ার কার লাগানোর কথা জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. অহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা গত সপ্তাহে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে আপাতত একটি ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আশা করছি এক–দুই মাসের মধ্যেই এটি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, অন্য একটি ট্রেন থেকে নিয়ে এসে এটি যুক্ত করতে হবে। আর এখানে নিরাপত্তারও একটি বিষয় আছে। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছি যে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আশা করছি ঈদের পর পরই এটি যুক্ত হবে।
এছাড়া পাওয়ার কারের বিষয়টি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের পরপরই শাটল ট্রেনে পাওয়ার যুক্ত করার কথা।
শিক্ষার্থীর তুলনায় শাটল সংখ্যা অপ্রতুল। এর মধ্যে তিন জোড়া শাটল ও দুই জোড়া ডেমু বন্ধ থাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। শাটলে সিট খালি তো দূরের কথা দাঁড়ানোর মতো জায়গাও থাকে না অনেকসময়। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে শাটলের ছাদে উঠ অনেকে। এতে করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।