আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাবুল আক্তার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ মে, ২০২৪ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মিতু খুনের আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ সময় তিনি আদালত কক্ষের একটি বেঞ্চে শুয়ে পড়েন। পরে সুস্থ বোধ করলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে ফেনী কারাগারে নিয়ে যান। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তারের অসুস্থ হয়ে পড়ার এই ঘটনা ঘটে। এই আদালতে মিতু হত্যা মামলার বিচারকাজ চলছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মিতু হত্যা মামলা বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ জনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজকে (গতকাল) তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হাজির হননি। আগামীকাল তিনি সাক্ষ্য দেবেন। আইনজীবী বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকায় বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগার থেকে হাজির করা হয়। তখন দুপুরের খাওয়ার সময়। কোর্ট নেমে গিয়েছিল। কাঠগড়া থেকে বের হয়ে তিনি (বাবুল আক্তার) একটি বেঞ্চে বসেছিলেন। এরমধ্যে অসুস্থ বোধ করলে তিনি বেঞ্চটিতে শুয়ে পড়েন। তার গায়ে জ্বর ছিল। শরীর খারাপ ছিল। এ সময় তাকে পানি খাওয়ানো হয়। পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরো বলেন, সুস্থ্য বোধ করার পর দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাবুল আক্তারকে প্রিজন ভ্যানে তুলে ফেনী কারাগারে নিয়ে যান। প্রয়োজনে সেখানে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে।

আদালতসূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজে’ উল্লেখ করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু। আদালতসূত্র আরো জানায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। ঘটনার পর বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন সেটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে নতুন এ মামলাটি বিচারাধীন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডাইনিংয়ে লোকবল সংকট,আন্দোলনে কর্মচারীরা
পরবর্তী নিবন্ধজলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় হবে কুইক রেসপন্স টিম