দেশ–বিদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাবে বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। সরকারি, বেসরকারি, যৌথ উদ্যোগ এবং বিদেশের রপ্তানিকারক বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত পিডিবির কাছ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পরিমাণ অর্থ পাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পিডিবির বিপুল এ দায়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবির পাওনাও রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য দেন। খবর বিডিনিউজের।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর কাছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিডিবির বকেয়া ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলো পাবে ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। একই সময় পর্যন্ত যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিপরীতে বিদেশি কোম্পানিগুলো পিডবির কাছ পাবে ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর ভর্তুকির বিপরীতে পাওনা ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধ করেছে।
স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড–১৯ মহামারী পরবর্তী ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া অত্যাধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এজন্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রীর আশা, শিগগির সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার সক্ষম হবে।