কর্ণফুলী নদীতে থাকা জাহাজে পানি সরবরাহ করতে গিয়ে সাম্পানে অগ্নিদগ্ধ মাঝি শেরজান খাঁন প্রকাশ শের দিল খাঁন (৪১) মারা গেছেন (ইন্না-লিল্লাহি…রাজিউন)।
২১ এপ্রিল (রোববার) দুপুর ১ টার দিকে ঢাকার চানখারপুল এ এইচ এম কামরুজ্জামান সরণি রোডের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক ও ঢাকায় অবস্থিত নিহত শের দিল খাঁনের ছোট ভাই মো. ইলিয়াছ খাঁন।
নৌ পুলিশের ওসি জানান, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে পোস্টমর্টেম করতে অনিহা প্রকাশ করেছিলো। আমরা মেডিকেলে যোগাযোগ করেছি যাতে পোস্টমর্টেম করেন। কারণ নদীতে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় আগুন লেগে তাঁর মৃত্যু হয়।’
তথ্যমতে, গত ১৬ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর চরপাথরঘাটা পুরাতন ব্রিজঘাট অংশে এই অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। মূলত জাহাজে পানি সরবরাহ করে ফেরার পথে ইঞ্জিন চালাতে গেলে হঠাৎ সাম্পানে আগুন ধরে যায়।
এতে সাম্পান মাঝি শের দীল খাঁনসহ মো. লোকমান (৩৮) নামে আরও এক ব্যক্তি দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় মাঝিরা তাঁদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। দুদিন পর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের দীল খাঁনকে ঢাকায় পাঠানো হলেও অপর ব্যক্তি এখনো চমেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত রয়েছেন বলে জানা যায়।
নিহত শেরজান খান প্রকাশ শের দিল খান (৪১) কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলী এলাকার নুরুল ইসলাম খান প্রকাশ লুসাইয়ার ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন সাম্পান মাঝি। নদীতে থাকা জাহাজে পানি সরবরাহের কাজ করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লাশ এখনো ঢাকার হাসপাতালে রয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে রাতে চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা হবেন বলে সূত্র জানায়। এদিকে, তাঁর মৃত্যু সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরামুল হক।