টানা তাপদাহ ও তীব্র গরমের পর নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি। গতকাল ভোরে বজ্রপাতসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে নগরে। এর প্রভাবে কমছে তাপমাত্রা। কমেছে গরম অনুভূতিও। যা স্বস্তি আনে জনজীবনে। অবশ্য বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবারও বাড়তে থাকে গরমের মাত্রা।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে নগরে। এর আগে গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয় দিন নগরে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যায়। এছাড়া অন্যান্য দিনগুলোতো তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এতে বেড়ে যায় গরমের তীব্রতা। জ্বর–কাঁশিসহ নানা রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছিল লোকজন। তাই সবার প্রত্যাশা ছিল বৃষ্টি। গতকাল সেই প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়েছে।
বখতেয়ার নামে মুরাদপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, টানা গরমে খুব অতিষ্ঠ ছিলাম। বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তবে গরম খুব বেশি কমেনি। আগে বৃষ্টি হলে দু‘ একদিন আবহাওয়া শীতল থাকতো। এখন যতক্ষণ বৃষ্টি হয় তার ঘণ্টা দুয়েক পরেই আবারো গরম অনুভূত হতে থাকে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা এম এইচ এম মোছাদ্দেক জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। তাছাড়া দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ–পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ০৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে যা অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০–৩০ কিলোমিটার বা আরো অধিক বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
বৃষ্টিতে কমেছে তাপমাত্রা : গতকাল নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিন ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল তাপমাত্রা কমেছে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য তাপমাত্রা কমলেও গতকাল রেকর্ড স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা। তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও বৃষ্টির প্রভাবে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিন ছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।