লোহাগাড়ার চুনতিতে চাঁদ রাতে ঈদ জামাতের সময়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের সাতগড় মৌলভী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। আহতরা হলেন, গুলিবিদ্ধ মাওলানা আবুল বশর (৫০), আবুল হাশেম (৭০), মো. ইফহাদুল ইসলাম বাবু (১৮), আকতার আহমদ (৬৫), আবদুল লতিফ হোছাইনি (৪৪), মো. আবদুল মজিদ হোছাইনি (৩৫) ও অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াহেদ হোছাইনি (৪০)।
গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে একপক্ষ ৯ জনের নামোল্লেখ ও ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার বাদী উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগড় মেম্বার পাড়ার মৃত হাকিম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বদু (৫৫)। ওই মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগড় মৌলভী পাড়ার মৃত ছানা উল্লাহর ছেলে শহিদুল হক, হাবিব উল্লাহর ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ, আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুখছড়ি আশরফ মুন্সির বাড়ির খায়ের আহমদের ছেলে আব্দুল আল মামুন প্রকাশ জিহান ও আব্দুল মোমেন। অপরদিকে, গত রোববার অপরপক্ষ ৮ জনের নামোল্লেখ ও ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার বাদী হাবিব উল্লাহ। এই মামলার আসামির মধ্যে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সাতগড় শাহ আতাউল্লাহ হোছাইনী (রাহ.) কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে ঘটনার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জয়নুল আবেদিন জানান, দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলমান থাকায় প্রায় দুই মাস পূর্বে উক্ত মসজিদ কমিটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও তাকে সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এরপর উভয় পক্ষকে পর্যায়ক্রমে এক সপ্তাহ করে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় হয়। ঈদের সপ্তাহ যেই পক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন, তারা মসজিদে ঈদের জামাত সাড়ে ৮ টায় আদায় করার ঘোষণা দেন। এদিকে ঘটনার রাতে আরেকপক্ষ মসজিদে এসে ঈদের জামাত সাড়ে ৭টায় আদায় করার ঘোষণা দেন। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, ঈদ জামাতের সময়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।