টেকনাফে অবশেষে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছেন রবিউল আলম নামে এক স্কুল শিক্ষকসহ দুইজন। গত রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ঘরে ফিরেছেন বলে জানান রবিউল আলমের ভাই সাইফুল ইসলাম।
অপহৃত স্কুল শিক্ষক উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার ‘আলোর পাঠশালা’ নামক একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অপরজন রোহিঙ্গা।
এ বিষয়ে অপহৃতের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে আমার ভাইসহ অপরজন ইজিবাইকে (টমটম) করে বাড়িতে ফিরছিলেন। অপহরণকারীরা আমার ভাইকেসহ আরেকজনকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে।
স্থানীয়রা বলেন, গেল শনিবার রাত ৮টার দিকে স্কুল শিক্ষক রবিউল আলমসহ এক রোহিঙ্গা ইজিবাইকে করে বাড়িতে ফেরার পথে অপহরণকারীরা গাড়িটি অবরুদ্ধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আলোর পাঠশালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। এভাবে তো চলতে পারে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। কত টাকা দিয়ে ফিরে এসেছে তা জানি না। তবে সাড়ে ১১টার দিকে অপহৃত রবিউল আলমের বাবার সাথে কথা হয়। তিনি বলেছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার, পরে নাকি ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলো অপহরণকারীরা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আমরা আমাদের অভিযানও অব্যাহত রেখেছিলাম।