গাইবান্ধায় শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে রক্ষা করতে পারলেন না এক কলেজ ছাত্র; ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন দুজনই। তবে বেঁচে গেছে দেড় বছর বয়সী শিশুটি। গতকাল সোমবার দুপুরে সান্তাহার–লালমনিরহাট রেলপথের গাইবান্ধা স্টেশনের দক্ষিণে আদর্শ কলেজ–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফারুক হোসেন জানান। নিহতরা হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) ও গাইবান্ধা শহরের মধ্য গোবিন্দপুর মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নিহত রাজিয়া বেগম (৩৫)। জোবায়ের শহরের এস কে এস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় আহত দেড় বছর বয়সী শিশুটিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই রেলপথের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন কলেজছাত্র জোবায়ের। গাইবান্ধা আদর্শ কলেজের সামনে গিয়ে তিনি দেখেন, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম কোলে শিশুসন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময় গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে সান্তাহারগামী একটি লোকাল ট্রেন। এ দৃশ্য দেখে তখন মা–ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান জোবায়ের। কিন্তু ট্রেনের ধাক্কায় তারা রেলপথের পাশে ছিটকে পড়েন।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধূ, কলেজছাত্র ও শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পথে দুজন মারা যান। এসআই ফারুক বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ রাজিয়া বেগম তার শিশুসন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।