খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভুয়া চিকিৎসক পিতা-পুত্রকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেম উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
রোববার (৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ।
এসময় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার, রোগী দেখা, সীল মোহর বানানো এবং ব্যবস্থাপত্র দেয়ার দায়ে দুইজনকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুরের দক্ষিণ পাথালিয়ার মো. হারুন সওদাগর (৫৫) ও তার ছেলে মো. রাকিব হাসান (২৪)। এর মধ্যে হারুন নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে এবং তার ছেলে রাকিব এসএসসি পাস করেছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছে।
জানা গেছে, দীঘিনালায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন ছাড়া মো. হারুন সওদাগর ও মো. রাকিব হাসান নিজেদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে রোগী দেখা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, সীল মোহর ব্যবহার ও আয়ূবেদিক ওষুধ বিক্রী করে আসছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ ওষুধ আইন-১৯৪০ এর ৩৭ ধারা মোতাবেক মো. হারুন সওদাগরকে ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মো. রাকিব হাসানকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভ্রাম্যমান আদালতে অপরাধ স্বীকার করায় দুইজনকে যথাক্রমে ১ মাস ও ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ড প্রদানের পর তাদের পুলিশের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।