ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে জাতীয় পরিষদে পিটিআই সমর্থিত এমপিদের স্লোগান এবং পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিলম্বে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটিতে ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল–এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। টানা দ্বিতীয়বার মত তিনি পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। ভোটে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপিসহ আট দল মিলে সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোটভুক্ত হয়। ওই আট দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন শাহবাজ। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিটিআই এর প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান। যাকে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র এমপি বা এমএনএরা। ওমর আইয়ুব ৯২ ভোট পেয়েছেন।
রোববার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ভোট গণনা শেষে স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ফলাফল ঘোষণা করেন এবং শাহবাজকে জাতীয় পরিষদের নেতার আসন গ্রহণ করার আহ্বান জানান বলে জানায় দৈনিক ডন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা আসার পর বড় ভাই নওয়াজ শরিফকে জড়িয়ে ধরেন শাহবাজ।
এদিন জাতীয় পরিষদে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা আগেই বলেছিলেন পিটিআই নেতা আসাদ কাইসার। বলেন, তার দল প্রতিবাদের অধিকার প্রয়োগ করবে।
এই জাতীয় পরিষদ ভুয়া, তবে আমরা আইন মেনে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো। বালুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি–মেনগাল (বিএনপি) এর আখতার মেনগাল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট বয়কট করেন বলেও জানায় ডন।
পিটিআই–র আমির দোগান এবং পিপিপি–র ইউসুফ রাজা গিলানি জোরাজুরি করার পরও বিএনপি প্রধান বিরোধী দলের বেঞ্চে নিজের আসনে বসে থাকেন এবং ভোট দান থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে জেইউআই–এফ আগেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট বয়কট করার ঘোষণা দেয়।