মিয়ানমারে সামরিক শাসক এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোটের মধ্যকার সংঘাত তীব্র হওয়ায় ৯০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘ এমনটিই বলছে। খবর আল জাজিরা। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) এক হালনাগাদ তথ্যে শুক্রবার বলছে, ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য থেকে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
নভেম্বরের শুরু থেকে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার সংঘাতে প্রতিবেশী সাগাইং অঞ্চল ও কাচিন রাজ্য থেকে আরও ৪০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে মিয়ানমারের অন্যতম শক্তিশালী জাতিগত গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স শান রাজ্যে সমন্বিতভাবে ডজনখানেক সামরিক তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায়। রাজ্যটির অবস্থান পূর্বদিকের সীমান্তে চীনঘেঁষা। হামলার এক পর্যায়ে ওই জোট সীমান্তের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে এ হামলার ঘটনা সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের কাছে গুরুতর এক পরীক্ষা।
থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা মিয়ানমারের সামরিক অনুপ্রবেশের বিপরীতে অঞ্চল রক্ষা, অত্যাচারী সামরিক একনায়কত্ব নির্মূল এবং সীমান্তে অনলাইন জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত সুয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, সীমান্ত অঞ্চলে সরকার যদি কার্যকরভাবে ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা না নিতে পারে, দেশ ভেঙে টুকরো হয়ে যেতে পারে।