আত্মসমর্পণের পর কারাগারে বিএনপি নেতা আমান

নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

| সোমবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

হাইকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে। গতকাল রোববার ঢাকার বিশেষ জজ১ আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। খবর বাংলানিউজের।

আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালতে হাজির হন আমান। এর আগেই বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে হাজির হন। এরপর পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদের আদালত চত্বর থেকে বের করে দেয়। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সেখানে স্লোগান দেন। ২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়। এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক দিনে এত ডেঙ্গু রোগী এ বছর দেখা যায়নি
পরবর্তী নিবন্ধবিএসএফের বাধায় থমকে আছে ফেনী নদী রক্ষা প্রকল্প