লোহাগাড়ার পুটিবিলায় পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে জোৎস্না আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ জুন) বিকেল ৫টায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পিত্রালয়ের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত জোৎস্না আক্তার উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম তাঁতী পাড়ার মামুনুর রশিদের স্ত্রী ও চরম্বা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়ারবিলা এলাকার সরওয়ার কামালের কন্যা।
ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যা চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস-বিচারও হয়েছে। প্রায় ১৫ দিন পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের কারণে পিত্রালয়ে চলে যায় নিহত জোৎস্না আক্তার। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে পিত্রালয় থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে এসে বিষপান করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক সন্তান রয়েছে।
নিহতের পিতা সরওয়ার কামাল জানান, প্রায় ৬ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তারা সুখী ছিল। প্রায় এক বছর পূর্ব থেকে তার মেয়ের স্বামী মামুনুর রশিদ পরকিয়ায় জড়িয়ে যায়। এরপর থেকে তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিবার সালিশ-বিচারও করেছেন কিন্তু তার মেয়ের স্বামীর স্বভাব কোনোভাবে পরিবর্তন করা যায়নি। তার মেয়েকে তালাক দিয়ে দিবে বলেও জানায়। শেষবার স্বামী মামুনুর রশিদ প্রচণ্ড মারধর করায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যান মেয়েকে। ঘটনার দিন পরিবারের সকলের অগোচরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বিষপান করে। এ অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির কেউ তার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।
স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তার মেয়ে বিষপান করেছে দাবি করে এ ঘটনার বিচার চান তিনি।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, “পুটিবিলায় এক গৃহবধূ বিষপানে মারা যাবার খবর পেয়েছি। নিহতের পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”