তরুণদের হাত ধরে গড়ে উঠবে আগামীর বাংলাদেশ : ওয়াসিকা

দৃষ্টি ব্রেনস্টর্মিং বিজনেস আইডিয়া কনটেস্টের ফাইনাল

| রবিবার , ২৮ মে, ২০২৩ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব, যার উপর ভর করে জাতি স্বপ্ন দেখছে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ প্রকাশ করে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে যাওয়ার। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের চালিকা শক্তি দেশের তরুণরাই। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দৃষ্টি, চট্টগ্রামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসপাহানিদৃষ্টি ব্রেইনস্টর্মিং বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট। নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার ১২ তম আসরের ফাইনালে চ্যামিপয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ফ্রি লিভিং’। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের প্রান্তিক এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের একই প্লাটফর্মে এনে কৃষি ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের বাজারজাতকরণকে আরও সহজ ও দ্রুত করার অভিনব ধারণা উপস্থাপন করে শিরোপা জিতে নেয় টিম ফ্রি লিভিং। যে আইডিয়া কৃষকের আর্থিক নিরাপত্তা ও ভোক্তার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ফনিঙ, টিম মাউন্টেন ও চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির টিম ইরিগমাস ডুয়ালিটি।

দৃষ্টির সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে গ্রান্ড ফিনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, ইসপাহানি গ্রুপের উইং ম্যানেজার মো. নুরনবী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সহ সভাপতি বন কুসুম বড়ুয়া নুপুর, শহিদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, যুগ্ম সমপাদক কাজী আরফাত, রিদোয়ান আলম আদনান ও প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন মজুমদার। প্রধান অতিথি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা দানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তাদের হাত ধরেই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও উদ্যোক্তা তৈরিতে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নির্ভর করছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়নের উপর। তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তার আগেই ২০২৮ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। প্রফেসর ড. আদনান মান্নান বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের নিত্যনতুন আইডিয়া ও স্টার্টআপ যত বেশি বাড়বে তত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং তরুণদের মাঝে হতাশা দূর হয়ে আশার সঞ্চার হবে।

ফাইনাল পর্বের বিচারকার্য পরিচালনা করেন চবি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ মামুন, সাংবাদিক রফিকুল বাহার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, র‌্যানকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তানভীর শাহরিয়ার রিমন ও ঢাবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুস্তাক ইবনে আইয়ুব। ইস্পাহানির পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় সহয়োগিতায় রয়েছে র‌্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজ। এবারের প্রতিযোগিতায় ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স
পরবর্তী নিবন্ধজেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির চলমান বিরোধ শীঘ্রই নিষ্পত্তি