চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চট্টগ্রামের বধ্যভূমির সম্প্রসারণ অত্যন্ত প্রয়োজন। হীনস্বার্থে ভূমিখেকোরা জায়গা দখল করতে করতে পাহাড়তলী বধ্যভূমিকে সংকুচিত করে ফেলেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ষড়যন্ত্র মেনে নিব না এবং এহেন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে গণ–আন্দোলন গড়ে তুলব।
গতকাল শনিবার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতি স্মরণ করে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, আমি প্রশাসন, নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করছি যাতে পাহাড়তলী বধ্যভূমিকে সমপ্রসারিত করে এমনভাবে ঢেলে সাজানো যায় যাতে জনগণ এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধে চেতনার উপলব্ধি নিতে পারে। চট্টগ্রামের অন্য যেসব বধ্যভূমি বেদখল হয়ে আছে সেগুলোও উদ্ধার করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সমালোচনা করে মেয়র বলেন, এই বধ্যভূমিতে অসংখ্য নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীরা। সেই পাকিস্তান আজ দেউলিয়াত্বের পথে। আর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই এখন বধ্যভূমি দখল করছে, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এই হায়েনাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, লড়তে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে।
এ সময় মেয়র বধ্যভূমি প্রদর্শন করেন এবং বধ্যভূমির উন্নয়নে কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন। সিটি মেয়রের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. জহুরুল আলম জসিম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মো. আবদুস সালাম, পুলক খাস্তগীর, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ–সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।