নেলসন ম্যান্ডেলাকে উদ্ধৃত করে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, শিক্ষাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় অস্ত্র, যা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে। তবে এজন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োজন। আর মানসম্মত শিক্ষার জন্য সবার আগে দরকার মানসম্মত শিক্ষক।
স্মরণ সভা এবং মেধাবী ও সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বিকেলে আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ মিলনায়তনে প্রিন্সিপাল শাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল শাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী, খোরশেদ আলম খোকন, সাখাওয়াত হোসেন মজনু ও প্রফেসর হোসেন আহমদের স্মরণে দোয়া কামনাসহ স্মৃতিচারণ করা হয়।
ট্রাস্টের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. হারুন অর রশীদ ও সরকারি কমার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আলাউদ্দিন আল আজাদ। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়াজের রহমানের সঞ্চালনায় অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল শাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকীর পুত্র ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাক আহমদ সিদ্দিকী ও আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ কুমার দত্ত। এছাড়া প্রয়াত খোরশেদ আলম খোকনের মেয়ে তানিয়া আলম মিমি, সাখাওয়াত হোসেন মজনুর স্ত্রী মর্জিনা আক্তার ও প্রফেসর হোসেন আহমদের মেয়ে তাসনিম আহমদ অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন।
শাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী ছিলেন সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষক। পরে কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। অবসরে যাওয়ার পর আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি প্রিন্সিপাল শাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী হিসেবে পরিচিতি পান।
শিক্ষককে সম্মান জানাতে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি এম এ মালেক আরো বলেন, সব শিক্ষককে আমি শ্রদ্ধা করি। আর শাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী স্যার ছিলেন আমার সরাসরি শিক্ষক। সরকারি কমার্স কলেজে আমি উনার সরাসরি ছাত্র ছিলাম। শিক্ষক হিসেবে তিনি খুবই সম্মানীয় ও শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তিনজন মানুষ নিঃস্বার্থ ভাবে সবকিছুই দেয় জানিয়ে দৈনিক আজাদী সম্পাদক বলেন, তিনজনের মধ্যে দুজন হলেন মা–বাবা। আর একজন শিক্ষক। তারা নিঃস্বার্থ ভাবেই তোমার জন্য সবকিছু করবে। কখনো বিনিময়ে কিছু আশা করবে না। শিক্ষার্থীদের মোবাইলের বদলে বই হাতে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে একুশে পদক পাওয়া এম এ মালেক বলেন, বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। একটি ভালো বই একশ জন বন্ধুর সমান।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, শুরুতে বহু বাধা–বিপত্তির মধ্য দিয়ে এই মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হয়েছে। দান করলে ধন সম্পদ কমে না। বরং বেড়ে যায়। এই ট্রাস্ট ভবিষ্যতে আরো বড় উদ্যোগ নেবে আশা প্রকাশ করে এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। আলোচনা শেষে সরকারি কমার্স কলেজ ও আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের মোট ২০ শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির অর্থ তুলে দেয়া হয়।
