রাউজানে পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার উপজেলা নোয়াজিষপুর ও বাগোয়ান ইউনিয়নে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের বদিউর রহমান চৌধুরী বাড়িতে আগুন লাগে। সংবাদ পেয়ে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের দমকলবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে একে একে ৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন এম সরোয়ার্দী সিকদার। তিনি রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করেন। এখানে ক্ষতিগ্রস্তরা হচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ–সভাপতি জসিম মেম্বার, মো. জাহাঙ্গির, আলমগীর, আজিজ, আবুল কালাম, মনছুর, মামুন, কাউসার। অন্যদিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া গ্রামে নুরুল হক মেম্বারের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা হচ্ছে মোহাম্মদ লোকমান, মোহাম্মদ নাসির সওদাগর, এয়াকুব সওদাগর, মো. শফিকুল ইসলাম, হাজী রফিক, বদিউল আলম,শামসুল আলম, মো. ইলিয়াস, জলিয়া খাতুন, তোয়ান সওদাগর ও রাজা মিয়া। স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুটি ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
রাউজান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সকালে উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিকেলে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।