চার জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়েছে দস্যুরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার শহরের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে এক রাতে চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় বাধা দেওয়ায় একটি ট্রলারের চার জেলেকে মারধর করে সাগরে ফেলে দিয়েছে জলদস্যুরা।

গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার সময় এই সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান মেলেনি বলে জানায় কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আজ রাত ৯টার সময় জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ডসহ সমিতির অন্যান্য ট্রলারগুলোকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে কিন্তু এখনও নিখোঁজ জেলের সন্ধান মেলেনি।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন অলি আহমদ, মো. আনিস, মো. জিয়া ও মো. দেলোয়ার হোসেন। তারা সদর উপজেলার খুরুশকূলের মো. জকরিয়ার মালিকানাধীন এফবি হাসান নামের মাছ ধরার ট্রলারের জেলে।

ভুক্তভোগী ট্রলার মালিকদের বরাতে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের ১৪ বিউ (১৪ মিটার গভীরতাসম্পন্ন সাগর) নামক এলাকায় মাছ ধরছিল এফবি হাসানসহ চারটি ট্রলার। এর মধ্যে এফবি হাসানে ১৯ জন জেলে ছিল। জলদস্যুরা ট্রলারটির মাছ, জালসহ সবকিছু লুট করে নেয়। এসময় ডাকাতদের বাধা দিলে তারা চার জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল করে ছেড়ে দেয়।”

তিনি আরও জানান, এফবি হাসানের পর জলদস্যুরা কিছুদূরে মাছ ধরার আরও তিনটি ট্রলারে একে একে ডাকাতি করে। ওই ট্রলারগুলো থেকে মাছ, জালসহ মালামাল লুট করার পর ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। ডাকাতির শিকার অপর ট্রলারগুলোর মধ্যে শহরের নূনিয়াছড়ার শুক্কুর কোম্পানির ও নতুন বাহারছড়ার শাহীনুল হকের ট্রলারও রয়েছে। অপর ট্রলারটির মালিকের নাম জানা যায়নি।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ বলেন, “কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত উপকূল জুড়ে প্রায় প্রতিদিনই বোট ডাকাতি হচ্ছে। পুরনো ডাকাতরা নতুন করে সংগঠিত হয়ে রমজান উপলক্ষে হামলে পড়ছে জেলেদের ওপর।”

তিনি অবিলম্বে জলে ও স্থলে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবি জানান।

বোট মালিক সমিতির নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় সকালে এফবি হাসানের মালিক মো. জকরিয়া কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ জানায়, এলাকাটি তাদের আওতাধীন নয়।”

কক্সবাজার উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরে চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।

এ সময় বাধা দেওয়ায় ট্রলার থেকে চার জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়েছে দস্যুরা।

শুক্রবার মধ্যরাতে সাগরের উপকূলবর্তী ১৪ বিউ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন অলি আহমদ, মো. আনিস, মো. জিয়া ও দেলোয়ার হোসেন। তারা ডাকাতির শিকার এফবি হাসান নামের মাছ ধরার ট্রলারের জেলে। ট্রলারটির মালিক সদর উপজেলার খুরুশকূলের মো. জকরিয়া।

আজ শনিবার ভুক্তভোগী ট্রলার মালিকদের বরাতে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এফবি হাসান ট্রলারটিতে মোট ১৯ জেলে ছিলেন। তারা মাছ, জালসহ সবকিছু লুট করে নেয়। ডাকাতদের বাধা দিলে তারা চার জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল করে ছেড়ে দেয়।”

বোট মালিক সমিতির নেতা বলেন, “এফবি হাসানের পর জলদস্যুরা কিছু দূরে মাছ ধরার আরও তিনটি ট্রলারে ডাকাতি করে। ওই ট্রলারগুলো থেকে মাছ, জালসহ মালামাল লুট করার পর ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। সাগরে ফেলে দেওয়া চার জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তিনটি জাহাজ সাগরে ভাসছে। শনিবার সকালে অন্য ট্রলারের সহায়তায় এফবি হাসানকে কক্সবাজার উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে।“

দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় সকালে এফবি হাসানের মালিক মো. জকরিয়া কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ জানায়, এলাকাটি তাদের আওতাধীন নয়।”

পরে সাংবাদিকরা কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এবং উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা বললে পুলিশের দুই কর্মকর্তাই বলেন, ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন নয়; এটি টেকনাফ থানার অধীন।

এ ব্যাপারে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান টেকনাফের শামলাপুর উপকূলবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনার ব্যাপারে থানা অবহিত নয় তবে ঘটনার ব্যাপারে তিনি খোঁজ-খবর নেবেন বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭৪ লাখ টাকার স্বর্ণ ফেলে পালালো পাচারকারীরা
পরবর্তী নিবন্ধসাংবাদিক হেনস্তা ও শিক্ষার্থী মারধর ঘটনায় তদন্ত কমিটি