ন্যাশনাল মেরিটাইমে উন্নত মানের প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

নাবিকদের পাসিং আউটে নৌ প্রতিমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:১২ পূর্বাহ্ণ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটকে মেরিটাইম কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত করার অংশ হিসেবে সরকার ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে ‘শেখ রাসেল সিমুলেটর ভবন’ নির্মাণ করেছে। যার মধ্যে ফুল মিশন ব্রিজ সিমুলেটর, ফুল মিশন ইঞ্জিন সিমুলেটর এবং হাই ভোল্টেজ সিমুলেটরসহ অন্যান্য আধুনিক প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের শিপিং সেক্টরের সংশ্লিষ্ট অফিসার ও নাবিকদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশি অফিসার ও নাবিকদের আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। গতকাল রোববার চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউিটের (এনএমআই) ২৪তম এবং এনএমআই মাদারীপুরের ১৩তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী নাবিকদের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্ব নৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাহাজি অফিসার ও নাবিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। দিন বদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যআয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে মাদারীপুর শাখার স্থাপনাদির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই উদ্বোধন করে মাদারীপুর ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ২টি ব্যাচে প্রতি বছর ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট কুড়িগ্রাম শাখা স্থাপনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক ও ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান।

অনুষ্ঠানে দুজন নাবিককে গোল্ড মেডেল ও সিলভার মেডেল পদক দেওয়া হয়। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সৌজন্যে প্রদত্ত গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত হন অল রাউন্ড রেটিং মো. আতিকুর রহমান টুটুল এবং মেসার্স হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের সৌজন্যে প্রদত্ত বেস্ট গ্রাউন্ড ড্রিল সিলভার মেডেলপ্রাপ্ত হন প্যারেড কমান্ডার মো. ইসমাইল হোসেন। দুজনই চট্টগ্রাম এনএমআইয়ের। প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৯৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬৮ জন মাদারীপুর এনএমআইয়ের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবাসন খাতে সঠিক সময়ে যুগোপযোগী নতুনত্ব আনতে পেরেছি
পরবর্তী নিবন্ধউপ-কমিটির চেয়ারম্যান আ. লীগের উপ-কমিটিসমূহের চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান হলেন যারা