খাদ্যে ভেজাল মেশানোর প্রক্রিয়া বেশকিছুদিন ধরে চলে এলেও বর্তমানে তা আমাদের দেশে জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অথচ খাদ্য খেয়েই আমরা বাঁচি। আর সুস্থ শরীরের জন্য নির্ভেজাল খাদ্য প্রয়োজন। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো জঘন্য অপরাধ হলেও কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষের জীবনকে সংকটময় করে তুলছে। খাদ্যের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কৃত্রিম রং, ওজন বাড়াতে বালি, ইটের গুড়ি, কাঁকড়, পানীয়ের সংগে বিষাক্ত কার্বোক্সি মিথাইল সেলুলোজ মেশানোসহ পঁচনশীল খাদ্য তাজা রাখতে ফরমালিনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এসব খাদ্য খেয়ে মানুষ পেটের পীড়া, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, কিডনি অকার্যকর, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এমনকি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। নতুন প্রণীত নিরাপদ খাদ্য আইন–২০১৩ তে এমন অপরাধীদের ৫ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। সরকার এমন কঠোর আইন প্রয়োগ করে এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেও মুনাফালোভী এসব অমানুষদের দমাতে পারছে না। সুতরাং এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে সরকারের পাশাপাশি আমাদের উচিত এই ব্যাপারে নিজেরা সচেতন হওয়া এবং খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
ফারজানা আক্তার মীম
৮ম শ্রেণি, আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।