কবরের ভেতর সে শুয়ে আছে একা
শীতের হিম ঝরছে চুপচাপ, যেন কেউ
না জাগে আর, চোখ মেলে তাকাবার
তবুও তাকায় সে, পাশ ফিরে শোয়
জিহ্বা বের করে মাটি চুয়ে পড়া শিশিরে
ভেজায় গলা, উল্টে রাখা বই খুলে পড়ে
যদি ছাদটা বড় হতো আরেকটু তবে সে
উঠে বসতো, নখের আঁচড়ে দেয়ালে
আঁকতো ফুল ও পাখি, এমনকি লিখতো
প্রেমিকার নামের আদ্যক্ষর তারপর গান
গাইতো চিৎকারে। হাসতে হাসতে লুটিয়ে
পড়তো ধুলোয় কিংবা দেয়ালে মাথা ঠুকতে
ঠুকতে মরে যেত সে আরেকবার। কিন্তু
কবরে নেই বালিশ। অথচ কাফনকে সে
কাঁথা বানিয়ে শুয়ে থাকে প্রতিদিন।