নগরে প্রায় ৬০ লাখ লোকের বাস। এর বাইরে প্রতিদিন আরো কয়েক লাখ লোক শহরে আসা-যাওয়া করেন। বিপুল সংখ্যক এ জনগোষ্ঠীর জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে গণশৌচাগার আছে মাত্র ৩৪টি। এ অবস্থায় নতুন করে গণশৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে তিনটি গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে। প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনাথীর ভিড় লেগে থাকে এ সৈকতে। অথচ সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কোনো গণশৌচাগার নেই। তাই সেখানে প্রথম দফায় গণশৌচাগার তিনটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। গণশৌচাগার নির্মাণের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশ ও দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এর সঙ্গে সমাঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে। এর আগে সংস্থা দুটির সঙ্গে ২০১৭ সালে চসিকের একটি চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় নগরে ৭টি গণশৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কার করে ডিএসকে। এসব গণশৌচাগার থেকে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩২ জন মানুষ সেবা নিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন ইশরাত আদিব ও ডিএসকে এর পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মাহমুদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়রের পিএস মুহাম্মদ আবুল হাসেম ও ডিএসকে’র প্রকল্প পরিচালক আরেফাতুল জান্নাত লিলি। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আগামী তিন বছরের মধ্যে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ একটি টেকসই পাবলিক টয়লেট পরিচালনা তৈরি করবে এবং উভয়ের সার্বিক সহযোগিতায় পরবর্তী দুই বছর তা বাস্তবায়ন করবে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এবং দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় যেসব মার্কেটের পাবলিক টয়লেট রয়েছে সেগুলো পরিচালনাকারীদের আধুনিক টয়লেট পরিচালনা করার ব্যাপারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। ডিএসকে’র প্রকল্প পরিচালক আরেফাতুল জান্নাত লিলি দৈনিক আজাদীকে বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় তিনটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করবো। যেহেতু ওখানে সিডিএর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাই তাদের সঙ্গেও একটি সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবো আমরা। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা পতেঙ্গায় কোনো পাবলিক টয়লেট নেই। এতে পর্যটকদের সমস্যা হয়। বিশেষ করে মহিলাদের। তাই শুরুতে সেখানে নির্মাণ করা হবে।
