ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে খুব কাছে গিয়ে। ম্যাচের পর ডালপালা মেলেছে নানা বিতর্ক। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ফেক ফিল্ডিং’। এ নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে ছড়িয়ে পড়েছে অসন্তোষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য ভেসে আসছে। বাংলাদেশের টিম অপারেশন্স ম্যানেজার জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, আইসিসির কাছে কিছু বিষয়ে অভিযোগও করবেন তারা। এমন অবস্থায় ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বাংলাদেশকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, অজুহাত না দিতে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘সত্যটা হচ্ছে ফেক ফিল্ডিংটা কেউ দেখেনি। আম্পায়াররা দেখেনি, ব্যাটাররা দেখেনি, আমরাও দেখিনি। আইনের ৪১.৫ ধারায় ফেক ফিল্ডিংয়ে জরিমানার বিধান আছে। তবে সেটা আম্পায়ারের কাছে এটা বোধগম্য হতে হবে। কিন্তু কেউই তো ঘটনাটা দেখেনি। তাহলে কার কী করার আছে। সুতরাং আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের বলব, লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার দায়কে ফিল্ডিং বা ভেজা কন্ডিশনকে দেবেন না। যদি একজন ব্যাটসম্যানও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারত, ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতত। আমরা সবাই এর জন্য দায়ী। অজুহাত খুঁজলে বড় হওয়া যায় না।
এদিকে বরাবরের মত বাংলাদেশকে খোচা দিয়েছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর সেওয়াগ। তিনি বলছেন বৃষ্টি একরকম বাঁচিয়েই দিয়েছে বাংলাদেশকে। এটা না হলে হারের ব্যবধান হতো আরও বড়। ক্রিকবাজের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, সবকিছুই মরার আগে ওড়ে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে । সব প্রদীপই একসময় নিভে যায়। আর এটাই হয়েছে। তারা পাঁচ রানে হেরেছে শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে। নয়তো ৪০ রানে হারতো। ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্পষ্ট বলেছিলেন, ভারতকে হারাতে পারলে সেটা হবে অঘটন। তার এমন মন্তব্যও পছন্দ হয়নি সেওয়াগের। ম্যাচ হারের পেছনেও সাকিবের দায় দেখছেন সেওয়াগ। তিনি বলেন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শেষ অবধি থাকা দরকার ছিল তার। অধিনায়ককে দায়িত্ব নিতে হয়। শান্ত আউট হয়ে গেছে। সাকিবও ওই একই ওভারে আউট হলো। তারা দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছে। যদি এখানে একটা জুটিও হতো তাহলে খেলা বদলে যেতো। আমার মনে হয় অধিনায়ক একটা ব্যাপার মিসও করেছেন। তার অভিজ্ঞতা ছিল, দায়িত্ব নিয়ে শেষ অবধি খেলার দরকার ছিল কোহলির মতো। দলকে উদ্ধার করতে না পারলে অর্থহীন বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করা দরকার।