দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের এক এলাকায় হ্যালোউইন উৎসবে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে ভিড়ের মধ্যে পদদদলিত হয়ে অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জরুরি বিভাগের কর্মীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ গতকাল শনিবার রাতের ওই ঘটনায় আরও দেড়শ জনের আহত হওয়ারও খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইয়ংসান দমকল কেন্দ্রের প্রধান চই সুং বিয়ম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, হ্যালোউইন উৎসবের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ একটি সরু গলিতে পড়ে গেলে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের একাধিক ভিডিওতে ওই এলাকার সড়কগুলোতে মৃতদেহ বহনে ব্যবহৃত বডি ব্যাগ পড়ে থাকতে, জরুরি বিভাগের কর্মীদের অচেতন ব্যক্তির হৃদযন্ত্র সচলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে এবং উদ্ধারকর্মীদেরকে অনেকের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে চেষ্টা করতে দেখা গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল।
মহামারী শুরুর পর প্রথমবার উন্মুক্ত স্থানে মাস্কবিহীন হ্যালোউইন উদ্যাপনে ইতায়েওনে শনিবার প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাগম হয়েছিল বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখেছিলেন, ইতায়েওনে এত ভিড় থাকায় সেটিকে অনিরাপদ মনে হচ্ছে।
একাধিক ছবি ও ভিডিওতে জরুরি বিভাগের অসংখ্য কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষকেও রাস্তায় পড়ে থাকা অচেতন লোকজনের শুশ্রুষা করতে দেখা গেছে। ইয়ংসান জেলার প্রতিটি মোবাইলে পাঠানো বার্তায় নাগরিকদের ‘ইতায়েওনের হ্যামিল্টন হোটেলের কাছে এক জরুরি দুর্ঘটনার’ কারণে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরতে অনুরোধ জানানো হয়েছে, জানিয়েছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।