সীতাকুণ্ড উপজেলায় সন্দ্বীপের উরির চর এবং ভাসান চর এলাকা থেকে সমুদ্রে ভেসে আসা মহিষগুলো বিভিন্ন ইয়ার্ডে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় এখনো আছে। গতকাল ভাসানচর এবং উরির চর থেকে মহিষগুলোর ৩ জন দাবিদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ইউএনও কার্যালয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সীতাকুণ্ডে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে ভেসে আসা ১২০টির মতো মহিষের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেগুলো স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও ইয়ার্ড মালিকদের জিম্মায় রয়েছে। মহিষগুলো দাবিদারদের সন্দ্বীপ থানায় বিস্তারিত তথ্যাদি দিয়ে জিডি করে সীতাকুণ্ড ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মাদামবিবিরহাট, সোনাইছড়ি, কুমিরা ও বাঁশবাড়িয়াা এলাকায় মহিষগুলো ভেসে আসে। তবে কুমিরা এলাকায় অন্তত ৩০টি মহিষ লুটপাট ও জবাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কারা এসব কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগর থেকে ভেসে আসা মহিষগুলো কতগুলো স্থানীয় এলাকার মানুষের কাছে, কতগুলো শিপ ইয়ার্ডের মধ্যেই রয়েছে। তবে মহিষগুলো কার তা বিবেচনা না করে, তার মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ জবাই করেছেন এবং কেউ পাচার করছেন। সীতাকুণ্ড মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর ইমরান হোসেন বলেন, গতকালও বেশ কিছু মহিষ উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃত মহিষ প্রকৃত মালিক যাচাইয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।












