আগামী মাসের শেষ থেকে লোডশেডিং আর থাকবে না বলে আশার কথা শুনিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আর বিশ্ববাজারে কমতে শুরু করলে বাংলাদেশেও জ্বালানির তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ক এক সেমিনারে নতুন নির্মিত কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী, আগামী মাসের শেষ থেকে আমরা পুরোপুরি এই লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। বিশ্ব পরিস্থিতি এর থেকে খারাপ না হলে আমরা ভালোর দিকে যাব বলে আশাবাদী। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে সামপ্রতিক সময়ে ডলার সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ ও তেলের খরচ কমানোসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সংকটের মধ্যে ডলার ধরে রাখতে উচ্চ মূল্যের জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমিয়ে ফেলা হয়।
বাংলাদেশ ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘অস্থিতিশীল বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মূল্য সমন্বয় খুব বেশিদিন হয় নাই। আমি সকলকে বলব অন্তত এক-দুইটা মাস আপনারা ধৈর্য ধরেন। আমরা আশাবাদী তেলের মূল্য যদি কমতে শুরু করে তাহলে একটা ভালো সমন্বয় করে নিচে নিয়ে আসতে পারব। এটা আমি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতির সমালোচনাও করেন প্রতিমন্ত্রী। নতুন নির্মিত কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটার পর একটা বেইসলোড এখন আসছে। এখন আপনারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পাবেন। এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র না করার জন্য বিরাটভাবে অনেক উপদেষ্টা পিছে লেগেছিলেন। যুক্তরাজ্য বাদ দেওয়া কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত রাখছে। জার্মান ইতোমধ্যে তাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু করেছে।
সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এ বছরের শেষ দিকেই ‘বিডিং রাউন্ড’ হবে বলে সেমিনারে জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান। তিনি বলেন, ভূমিতে বিভিন্ন অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি অফশোরে পিএসসির যে মোডিফিকেশন সেটি আমরা হাতে নিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে আমরা সেটি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছি।