রামুতে হচ্ছে হাই-টেক পার্ক ব্যয় ১৫০ কোটি টাকা

তথ্য-প্রযুক্তিতে উদ্যোক্তা তৈরির নতুন গন্তব্য হবে কক্সবাজার : পলক

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ১৭ জুলাই, ২০২২ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কক্সবাজারকে পর্যটন নগরীর পাশাপাশি প্রযুক্তি নগরী হিসেবেও গড়ে তোলা হবে। এরই অংশ হিসাবে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জমিতে এ হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা তৈরির নতুন গন্তব্য হবে কক্সবাজার।

গতকাল শনিবার সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের মানুষকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন। এখন সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হতে চলেছে। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৩ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, জেলার তরুণ-তরুণীরা শুধু একটি ল্যাপটপ নিয়ে এই হাই-টেক পার্কে বসে বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয় করতে পারবে। এই আইটি পার্কে ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতি বছর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে আরও ১ হাজার তরুণ-তরুণীর।

সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জমিতে এ হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হবে। এতে একটি পাঁচতলা ভবন এবং তার পাশে আবাসনের জন্য একটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন থাকবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পরিপূর্ণ অবকাঠামো তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলা) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএএম ফজলুল হক, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক (উপ-সচিব) হুমায়ন কবির উপস্থিত ছিলেন। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থী সানজিদা রহমান ও ইয়াছির আরাফাত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী হওয়ার তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০ জন তরুণ-তরুণীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

দক্ষিণ মিঠাছড়িতে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে হঠাৎ আগুন
পরবর্তী নিবন্ধ‘খেলা হবে’ এবার ওবায়দুল কাদেরের কণ্ঠে