ইজারা দেয়ার চক্রান্ত প্রতিরোধের আহ্বান সিপিবির

| বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সর্বশেষ উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র প্রকৃতির অপার দানে গড়ে ওঠা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারি খাতে ইজারা দেয়ার চক্রান্ত প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। এক বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেছেন, পত্রিকান্তরে আমরা জানতে পেরেছি, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের অজুহাত দেখিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের একাংশকে প্রাইভেট জোন ঘোষণা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আমরা এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামের সর্বশেষ বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে মানুষ অবসর সময়ে গিয়ে একটু নিশ্বাস নিতে পারে। এটি প্রকৃতির দানে গড়ে ওঠা সম্পদ, কোনো ব্যক্তিবিশেষের তৈরি নয়। চট্টগ্রাম শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত যেসব জায়গা ছিল, উন্নয়ন আর আধুনিকায়নের নামে একে একে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

ফয়’স লেককে বেসরকারি খাতে ইজারা দিয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তে ডিসি হিল বন্ধ হয়ে আছে। সংস্কারের নামে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। জাতিসংঘ পার্ককে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। কাজির দেউড়িতে যে সবুজ, শ্যামল খোলা প্রান্তর ছিল সেখানে শিশুপার্ক বানিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। সিআরবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস করে হাসপাতালসহ নানা স্থাপনা গড়ে তোলার চক্রান্ত চলছে। এই শহরে এখন মানুষের ঘুরে বেড়ানোর জন্য এক টুকরো উন্মুক্ত প্রান্তর আর অবশিষ্ট নেই। সন্তানদের খেলার কোনো জায়গা নেই।

সর্বশেষ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতও বেসরকারি খাতে দিয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলার এই প্রক্রিয়া আমরা মেনে নিতে পারি না। সিডিএ বলছে, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় মেটাতে নাকি তারা সমুদ্র সৈকত ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর চেয়ে অপরিণামদর্শী, গণবিরোধী বক্তব্য আর হতে পারে না। সিডিএর কাছে যদি রক্ষণাবেক্ষণের টাকা না থাকে, তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সৈকতের সংস্কার করল কেন? এভাবে বেসরকারি খাতে সৈকত দিয়ে দিলে সেখানে সর্বসাধারণের অবাধ যাতায়াতের অধিকার খর্ব হবে। শুধুমাত্র বিত্তবানদের জন্য সুযোগ তৈরি হবে, বঞ্চিত হবেন আপামর জনসাধারণ। সিডিএ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাদের তো নাগরিকের অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার নেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঔপনিবেশিক চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধবাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান