ব্রিটিশ পার্লমেন্টে চলছে অধিবেশন, এমপি সেখানে বসে ফোনে দেখছেন পর্নো। এমন কাণ্ড করা কনজারভেটিভ এমপি নিল প্যারিশ বরখাস্ত হয়েছেন। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারের কাছে প্যারিশ স্বীকার করেছেন, দুইবার ওই কাজ করেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। গত শুক্রবার স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার তাকে বরখাস্ত করেন। পরদিন পদত্যাগ করেন প্যারিশ। যদিও আগে তদন্ত চলার সময় তিনি বলেছিলেন, তিনি এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।
গতকাল বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যারিশ বলেন, শেষ পর্যন্ত আমার মনে হয়েছে, আমি আমার পরিবার এবং আমাকে সমর্থন করা সংস্থার জন্য যে ক্ষোভ ও ক্ষতির কারণ হয়েছি সেটা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। একজন কৃষক থেকে রাজনীতির মাঠে আসা প্যারিশ দাবি করেন, প্রথম বার দুর্ঘটনাবশত তার মোবাইলে পর্ন সাইট চালু হয়ে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বার তিনি নিজেই সেটা দেখেন। তিনি একটি ওয়েবসাইটে ট্রাক্টরের খোঁজ করছিলেন। তখন একই নামে একটি পর্নো খুলে যায়। তিনি বলেন, কিন্তু আমার বড় অপরাধ হলো, সব থেকে বড় অপরাধ হলো, অন্য সময়ে আমি সেখানে দ্বিতীয়বার প্রবেশ করি এবং সেটা পর্নো দেখার উদ্দেশেই। ওই সময় আমি চেম্বারের একদিকে একটি প্রস্তাবে ভোট দিতে বসে অপেক্ষা করছিলাম। কেনো এমনটা করেছিলেন এবং নিজের মনে ওই সময় কী চলছিল এমন প্রশ্নের জবাবে প্যারিশ বলেন, ‘এক মুহূর্তের পাগলামীতে’ তিনি সেটা করে বসেন। এ সপ্তাহের শুরুতে একজন নারী মন্ত্রী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি তার একজন পুরুষ সহকর্মীকে পার্লামেন্টে তার পাশে বসে পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখেছেন। ওই একই এমপি একটি কমিটির শুনানি চলার সময়ও পর্নোগ্রাফি দেখেছিলেন। প্যারিশ বলেন, আমি যা করেছি সেটা নিয়ে আমি গর্বিত ছিলাম না। আমার চারপাশের লোকজন সেটা দেখে ফেলুক আমি সেটাও চাইনি। আমি যা করেছি তার পক্ষে আমি সাফাই গাইছি না। আমি যা করেছি সেটা অবশ্যই, নিশ্চিতভাবেই ভুল…আমার মনে হয় আমার জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে লোপ পেয়েছিল।