টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে এক মেয়র ও চার কাউন্সিলর সহ মোট পাঁচ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে চলেছেন।
একজন মেয়র ও বারোজন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বিজয়ী হতে চলেছেন তারা।
তারা হচ্ছেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির চাচা হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, কাউন্সিলর পদে ৩নং ওয়ার্ডে এহতেশামুল হক বাহাদুর, ৬নং ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহ মনির, ৭নং ওয়ার্ডে মুজিবুর রহমান ও ৮নং ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ছিল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ওই দিন টেকনাফ পৌরসভার মেয়র পদে চার প্রার্থী সহ বিভিন্ন পদে মোট ৫৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই কালে দুই মেয়র ও চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এতে আপিল করেন মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল ও আব্দুস শুক্কুর এবং ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল আমিন জিসান ও জোবায়ের হোসেন এবং ৬নং ওয়ার্ডের মনির আলম বাদশা। তাদের মধ্যে মনির আলম বাদশা ইয়াবা পাচারে কারাগারে আটক রয়েছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ড. মামুনুর রশীদ আপিল শুনানি করে রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ বহাল রাখেন।
এদিকে, এমন আদেশের পর মেয়র পদে মোহাম্মদ ইসমাইল, কাউন্সিলর পদে জোবায়ের হোসেন উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে আদালতের অন্য কোনো আদেশ না আসলে মেয়র ও চার কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হবে বলে তা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেদারুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাহাজাহান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় মেয়র পদে হাজী মোহাম্মদ ইসলাম ছাড়া আর কেউ থাকল না। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭নং ওয়ার্ডে মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা করেননি। তাছাড়া ৩নং ওয়ার্ডে এহতেশামুল হক বাহাদুর, ৬নং ওয়ার্ডে আবদুল্লাহ মনির ও ৮নং ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান ছাড়া অন্যরা মনোনয়নপত্র প্রত্যহার করে নিয়েছেন।
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।
এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল, আব্দুস শুক্কুর ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শাহাজাহান (লাঙ্গল) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও একজন প্রত্যাহার করায় বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে চলেছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত ১ ও ২নং আসনে ৪ জন করে আটজন এবং ৩নং আসনে ২ জন নারী ছাড়াও সাধারণ আসনের ১নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৬ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ১ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৪ জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
এদিকে, একই তারিখ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে মোট ১০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৩ জন, সংরক্ষিত নারী পদে ২০ জন ও সাধারণ আসনে ৬৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে মাত্র দু’জন সাধারণ আসনের মেম্বার প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ ইসলাম, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ রফিকউল্লাহ, আবদুর রহমান, হাসিনা আক্তার, মোহাম্মদ সেকান্দর, হোছন আহমদ, জাফরুল ইসলাম, মোক্তার আহমদ, হেলাল উদ্দিন ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জসিম উদ্দিন (লাঙ্গল)।