অস্ত্র আইনে যুবকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড

বান্দরবান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ১:১২ অপরাহ্ণ

বান্দরবানে আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সাচিং মং মারমা নামের এক যুবককে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফের আদালত এই আদেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ জুলাই বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চাকমা পাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত টহল দল দেখে পালানোর সময় ২ জনকে আটক করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গুংরু আগা পাড়া এলাকায় সেগুনবাগান থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা বারুদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী অস্ত্র- গোলাবারুদসহ আটক দুই আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আসামিরা হলেন সাচিং মং মারমা এবং শিশু নেউ মারমা। তাদের অস্ত্র আইনে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিদের মধ্যে সাচিং মং মারমা বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা, খুন ইত্যাদি অভিযোগে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। অপর আসামি নেউ মারমা শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।
তবে অস্ত্র আইনে বিশেষ ট্রাইবুনাল মামলা নং ২০/২০১১ এর মূল আসামি সাচিং মং মারমাকে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ, স্বাক্ষী এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জমাবন্দির ভিত্তিতে বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হানিফ আদালত ১৫ বছরে সশস্ত্র কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া রাবার বাগান এলাকায়। পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তপন কুমার দাস এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেদারুল আলম জানান, অস্ত্র আইনে আটক যুবক সাচিং মং মারমাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ২০১১ সালের ৩ জুলাই অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নিরাপত্তা বাহিনী ২ জনকে আটক করেছিল। অপর আসামি শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু অপরাধ আইনে মামলা চলমান রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাধীনতা বিরোধীরাই জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী
পরবর্তী নিবন্ধহযরত আমানত খান (রহ.) মাজার জেয়ারতে আল্লামা সাবির শাহ