দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২৪ থেকে ২৭ জুন রাজধানী সিউলের কনভেনশন এন্ড এক্সিভিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সিউল ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ফেয়ারে (সিটিফ) অংশগ্রহণ করে।
সিটিফ দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা যা পূর্বে কোরিয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার বা কোটফা নামে পরিচিত ছিল।
এ বছর এই পর্যটন মেলায় ৯টি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও ট্রাভেল এজেন্সি সহ মোট ২৬টি দেশ অংশ নেয়।
২০১২ সাল থেকে এই মেলাটিতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে আসছে কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এ বছর এই মেলায় অংশ নিতে না পারায় এই মেলায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ২৪ জুন কোরিয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-এর চেয়ারম্যান শিন জোং-মোক মেলাটির উদ্বোধন করেন।
এসময় রাষ্টদূত আবিদা ইসলামসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, কিয়ংসাংবুক-দো কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম করপোরেশনের সভাপতি, জেজুদো ট্যুরিজম এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, কোরিয়া ট্যুরিজম এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, কোটফা-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাষ্টদূতবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে কোটফা চেয়ারম্যান মেলার বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও বুথ পরিদর্শন করেন।
পরে তারা বাংলাদেশের বুথ পরিদর্শনে এলে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাদের স্বাগত জানান।
এ সময় তিনি শিন জোং-মোককে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী উপহার দেন। পরিদর্শনকারী গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বুথে প্রদর্শিত বাংলাদেশী হস্তশিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পরবর্তীতে তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রদূত শরীফজোদা ইউসুফ-এর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাসের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশের বুথটি উদ্বোধন করেন।
একই দিনে মেলার মূল মঞ্চে দূতাবাসের প্রথম সচিব সামুয়েল মুর্মু বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানসমূহ নিয়ে একটি মনোগ্রাহী উপস্থাপনা পরিবেশন করেন।
এরপর স্থানীয় বাংলাদেশী শিল্পী আসাদুজ্জামান খানের সাবলীল ও মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশনা উপস্থিত সকল দর্শককে বিমোহিত করে।
উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী এই মেলায় প্রায় ৪শ’ কোরীয় ও বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশের বুথ পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান সমূহ, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র সমূহ প্রদর্শন করা হয়।অনেকে বুথে প্রদর্শিত ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী পোশাক পরা ম্যানিকুইনদের সাথে ছবিও তোলেন।
পাশাপাশি দুইজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে মেহেদী পরিয়ে দেন যা অনেক দর্শনার্থীকে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে।
আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মেলায় বাংলাদেশের সফল অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে আরো অধিক সংখ্যক বিদেশী নাগরিককে বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী করে তুলবে।