লকডাউন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। থাকবে এক সপ্তাহ। লকডাউন কার্যকরে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য নগরজুড়ে মাঠে থাকবেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। লকডাউন কার্যকর করতেই তারা কাজ করবেন। গতকাল রোববার সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোযার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, নগরীর তিনটি প্রবেশ পথে বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। লকডাউন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন জানায়, নগরজুড়ে পরিচালিত গতকালের বিশেষ অভিযানে ৩৩ জনকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনসহ নানা অপরাধে তাদের এ জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাস্ক বিতরণসহ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ আজাদীকে বলেন, প্রথম ধাপে করোনা মোকাবেলায় অনেক ভুল ছিল। এখন আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এবার আমাদের তেমন একটা কষ্ট হবে না। দ্রুত করোনা থেকে আমরা মুক্তি পেতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। রেড ক্রিসেন্টকে যুক্ত করেছি। তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তিনি বলেন, অসহায় চিত্র আর দেখতে চাই না। করোনা সংক্রমণ মেকোবেলায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা জানান, বহদ্দারহাটে মাস্ক না পরা ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে ৩ ব্যক্তি ও ৮ যানবাহন চালককে ২১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত জানান, বন্দর এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২ জনকে ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, কাজির দেউড়ি এলাকায় মাস্ক না পরায় তিনজনকে ৫০০ টাকা, দুই বাস চালককে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে সচেতন করা হয়।